সাগর স্নাত ও উপকূলীয় বনাঞ্চল বেষ্টিত নোয়াখালী বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন জেলা। এই জেলার সবুজ শ্যামল প্রকৃতির নয়নাভিরাম নিসর্গ মনোরম ও প্রদীপ্ত। মেঘনার ভাঙ্গা গড়া ও খাম খেয়ালীর শিকার এ জেলার আত্মবিশ্বাসী মানুষগুলি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সুপ্রতিষ্ঠিত। বর্হিবিশ্বে বা দেশে এ জেলার ঐতিহ্য কে সমুন্নত রাখতে যুগে যুগে সবাই কর্ম প্রয়াস চালিয়েছে। ১৯০৫ অভিভক্ত ভারতের কোলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয় নোয়াখালী সমিতি। শতবর্ষী প্রাচীন এ জেলা সমিতির উদ্যোগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সর্ববৃহৎ মিলনমেলা নোয়াখালী উৎসব ২০১৫। এ মিলনমেলায় আমাদের লোকজ ঐতিহ্য কে তুলে ধরার পাশাপাশি পারস্পরিক পরিচিতি বৃদ্ধির মাধ্যমে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করবে।
আমাদের শ্রদ্ধেয় পৃষ্ঠপোষক, উপদেষ্টামন্ডলী সর্বপরি নোয়াখালীর সর্বস্তরের শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ, পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবীগণ, নোয়াখালীর ঢাকাস্থ সকল উপজেলা সমিতির কর্মকর্তাবৃন্দ উৎসব আয়োজনে আমাদেরকে উৎসাহিত করে সাহায্যের হাত সম্প্রসারিত করেছে। আমাদের শত প্রচেষ্টা থাকা সত্বেও স্থান সংকুলানের অভাবে ঢাকাস্থ সকল নোয়াখালীবাসীকে আমন্ত্রণ জানাতে পারিনি। তদুপরিও যাঁরা এ উৎসবে অংশগ্রহণ করেছেন তাঁদের সকল কে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
এ উৎসব কে বর্ণিল ও সার্বজনীন করার জন্য সমিতির পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে। উৎসবকে সফল বাস্তবায়নের জন্য আমাদের পৃষ্ঠপোষকবৃন্দ, উদযাপন পরিষদ ও বিভিন্ন উপ কমিটি, উপজেলা সমিতিসমূহ, প্রায় চার মাস নিরলস পরিশ্রম করেছেন। তারপরও দৃষ্টির অগোচরে ছোটখাট ত্রুটি, ভুল ভ্রান্তি থেকে যেতে পারে। অংশগ্রহণকারীগণ তা উদার চিত্তে মার্জনা করবেন বলে আশা করি।
উৎসব আয়োজনে আমাদেরকে অর্থ, শ্রম , বুদ্ধি ও পরামর্শ দিয়ে সর্বোপরি অংশগ্রহণকারী রেজিস্ট্রেশন, স্মরণিকা প্রকাশ সহ আয়োজন ও ব্যবস্থাপনার দুরূহ কাজগুলি যাঁরা সম্পন্ন করেছেন তাঁদের সকলের নিকট কৃতজ্ঞতার পাশে আবদ্ধ থাকলাম।
উৎসবে অংশগ্রহণকারী সকলের নিকট রইল আমার আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।
মোহাম্মদ শাহব উদ্দিন
সভাপতি
নোয়াখালী জেলা সমিতি, ঢাকা।