অবিভক্ত বাংলায় ১৯০৪ সালে কোলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয় “নোয়াখালী সম্মিলনী”। তারই ধারাবাহিকতায় যাত্রা শুরু করে নোয়াখালী সমিতি। সৃষ্টির লগ্ম থেকে এই সমিতির সামাজিক ও সেবামূলক কর্মকান্ড দেশ ও বিদেশে ব্যাপক প্রশংসা লাভ করে। দেশ বিভাগের পর ঢাকার ৩২ নাজিম উদ্দিন রোডে সমিতির নিজস্ব কার্যালয় স্থাপন করা হয়। যা আজও কালের স্বাক্ষী হিসাবে ঐতিহাসিক স্মৃতিকে বহন করে যাচ্ছে। যদি সেই ভবনে নোয়াখালীবাসির পদচারণায় আর মুখোরিত হয় না। সমিতির উদ্যোগে ঢাকা প্রতিষ্ঠিত নিউ মডেল ডিগ্রী কলেজ ও নিউ মডেল হাই স্কুল আজও শিক্ষা বিস্তারে অগ্রগণ্য ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। এই সমিতির প্রতিষ্ঠাতাদের সকল স্বপ্ন আমরা এখনো পূরণ করতে পারিনি। আজ তাদের কথা গভীর শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি।
নোয়াখালীর ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সামনে রেখে নোয়াখালীবাসীর পুণর্মিলনের লক্ষে ঐতিহাসিক সৌহরাওয়ার্দী উদ্যোনে আয়োজন করা হয়েছে নোয়াখালী উৎসব ২০১৫। ঢাকাস্থ নোয়াখালীর জেলার ত্রিশ হাজার অধিবাসি উৎসবে অংশগ্রহণের জন্য রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন। স্থান সংকুলান ও বিরজমান পরিস্থিতির কারণে আমাদের পক্ষে সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো সম্ভব হয়নি। যার জন্য নোয়খালীবাসীর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি।
সুষ্ঠভাবে উৎসব আয়োজনে নোয়াখালীর নয়টি উপজেলার ঢাকাস্থ সমিতির কর্মকর্তা, সাধারণ সদস্য, নোয়াখালীর সর্বস্তরের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী, শিল্পপতিগণ, সামাজিক নেতৃবৃন্দ, সরকার উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, সাংবাদিক ও বিভিন্ন পেশাজীবীগণ আমাদেরকে অকুণ্ঠ সয়হয়তা ও পরামর্শ দান করেছেন। আমি সমিতির পক্ষ থেকে সকলের নিকট কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি উৎসবের সম্মানিত পৃষ্ঠপোষকদের নিকট যাঁদের অর্থ সহয়তা দ্বারা উৎসব আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে।
উৎসব উপলক্ষে নোয়াখালী জেলা সমিতির বার্ষিক কর্মসূচী হিসাবে শতাধিক মেধাধী ছাত্র-ছাত্রীদের কে বৃত্তি প্রদান করা হবে। বৃত্তিপ্রাপ্তদের জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। উৎসবকে বর্ণিল ভাবে তুলে ধরা জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রকাশ করা হয়েছে মনোজ্ঞ একটি স্মরণিকা। এই সকল কাজে যাঁরা নিরলস পরিশ্রম করেছেন, তাঁদের সকলের নিকট কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। উৎসবের সফলতার সকল কৃতিত্ব আপনাদের । উৎসবে আগত সকলকে আমার অভিনন্দন। আপনাদের পদচারণায় মুখোরিত হোক উৎসবের আঙ্গিনা। শক্তিশালী হোক আমাদের বন্ধুত্বের বন্ধন।
ড. মোহাম্মদ শামসুল হক
সাধারণ সম্পাদক
নোয়াখালী জেলা সমিতি, ঢাকা